আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তোলে। পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষও তাদের প্রত্যাখ্যান করে। জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল খালেদা জিয়া। থাকতে পারেনি। ভোট চুরি করলে জনগণ মেনে নেয় না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার পতন ঘটে।
তিনি আরও বলেন, ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়। তারপর পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু ওদের শিক্ষা হয়নি। তাই আবারও ২০০১ সালে ভোট কারচুপি, ভোট চুরি, জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলা শুরু করে। তাদের দুঃশাসনের কারণে দেশে ইমার্জেন্সি জারি হয়। আর আওয়ামী লীগ সরকার ধারাবাহিকভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি বলেই আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
আজ বুধবার বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে পাঁচটি জেলা ও একটি উপজেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এগুলো হলো- গাইবান্ধা, রাজশাহী, টাংগাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম (সন্দীপ)।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে আমি যখন গ্যাস বিক্রি করতে রাজি হইনি, তখন ষড়যন্ত্রের শিকার হই। ক্ষমতা আসতে পারেনি। গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় বিএনপি-জামায়াত জোট আসে। ক্ষমতায় এসেই তারা দুর্নীতি লুটপাট, জঙ্গিবাদ, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা এবং আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নির্যাতন শুরু করে।
তাদের দুর্নীতি এমন পর্যায়ে চলে যায়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও আরেক দিকে তারেক যে হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তোলে। ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করে। যার ফলে দেশে চরম অরাজকতার সৃষ্টি হয়। তারা জানত জনগণ তাদের ভোট দেবে না প্রত্যাখ্যান করবে, তখন তারা এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার লিস্ট তৈরি করে। সেভাবে নির্বাচন করার প্রচেষ্টা নেয়। সেখানে তারা ব্যর্থ হয়।
তিনি বলেন, ২০০৮ নির্বাচনে বিএনপির ৩০০ আসনের মধ্যে ৩০টি সিট পেয়েছিল। আওয়ামী লীগ ২৩৩ সিটে জয়ী হয়। আর অন্য সিটগুলো আমাদের জোটের শরিকরা পেয়েছিল। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আসতে পেরেছি। এমন সময় আবারো বিএনপি জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ মারায় মেতেছে। এই দুবৃত্তপরায়নতার জবাব দিতে হবে বাংলাদেশের মানুষকেই। নৌকায় ভোট দিয়ে এদের জবাব দেবেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন।